* সক্ষমতার (Capability) উপর ভিত্তি করে ৩ ভাগে
1. Narrow AI or Weak AI (দুর্বল আর্টিফিয়াল ইন্টেলিজেন্স)
2. General AI (সাধারণ আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স)
3. Strong AI (শক্তিশালী আর্টিফিয়াল ইন্টেলিজেন্স)
* কাজের (Functionality) উপর ভিত্তি করে ৪ ভাগে
1. Reactive Machine (প্রতিক্রিয়াশীল মেশিন)
2. Limited Memory Machine ( নির্দিষ্ট (স্বল্প) মেমরীযুক্ত যন্ত্র)
3. Theory of Mind (মন সম্পর্কিত থিওরী)
4. Self Awareness AI (আত্মসচেতন আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজন্স)
Narrow AI or Weak AI: Narrow AI বা Weak AI বলতে সেই AI কে বুঝায় যেটা কোন একটা পার্টিকুলার ডোমেইনে চিন্তা করা শিখিয়ে দিলে (আগেই ব্লগে বলেছিলাম যে এখন পর্যন্ত যেই AI আসছে তা লিমিটেড চিন্তা করতে পারে।) সেটা নিয়ে চিন্তা করতে পারে ও সলিউশন করতে পারে। তাকে যা শিখিয়ে দেয়া হয় এর বাইরে সে কোন কিছু চিন্তা বা শেখার কাজ করতে পারে না। এখন পর্যন্ত মোটামুটি যে সকল ধরণের AI সিস্টেম আছে তার সবই Narrow AI বা Weak AI (অন্তত এখন ২০২১ পর্যন্ত)।
General AI: General AI হচ্ছে সেই সকল AI সিস্টেম যা Natural AI এর মত কাজ করে। অর্থাৎ যে সকল AI প্রায় মানুষের মত চিন্তা করতে পারে বা বুদ্ধি প্রকাশ করে তাদেরকে General AI বলে। এটা এখন পর্যন্ত সম্পুর্ণভাবে তৈরি হয়নি, এটা নিয়ে রিসার্চ চলছে। গবেষকগণ এটা নিয়ে কাজ করছেন।
Strong AI: Strong AI হচ্ছে সেই AI যা মানুষের থেকেও বেটার চিন্তাভাবনা করতে পারে। অর্থাৎ এই সিস্টেমগুলো মানুষের থেকে বেটার সলিউশন বের করতে সক্ষম হবে, এরা হবে ইফিশিয়েন্ট, এবং মানুষের দ্বারা যে সকল প্রব্লেম সল্ভ করা সম্ভব হয় নি সেই প্রব্লেমগুলো এই AI সিস্টেমগুলো সল্ভ করবে। এটা আসলে একটা হাইপোথিসিস, এটা এখনো সম্ভব হয় নি। এখন এমনটা আপনার কাছে মনে হতে পারে যে, "আরে ভাই, এটা কি সম্ভব নাকি? শিখাবে মানুষ, এখন মানুষ যদি না পারে সল্ভ করতে তাহলে কম্পিউটারকে কিভাবে শিখাবে?" তাহলে একবার দাবা খেলার কথা চিন্তা করেন, খেলায় পারবেন তো কম্পিউটারের সাথে?
Reactive Machine: Reactive Machine ভবিষ্যতের কোন কাজের জন্য অতীতের কোন ডেটা মনে রাখে না, সে শুধু সাম্প্রতিক দৃশ্যপটের (current scenario) উপর ফোকাস করে। IBM Deep Blue ও Google AlphaGo হচ্ছে Reactive Machine এর উদাহরণ।
Limited Memory Machine: এই মেশিন এর মেমরি কম থাকে, এজন্য এরা খুব অল্প সময়ের জন্য ডাটা সেভ করে রাখে। যেমনঃ ড্রাইভারবিহীন গাড়ি।
Theory of Mind: এসকল AI মানুষের চিন্তাভাবনা, বিশ্বাস, অনুভুতি এসকল জিনিস নিয়ে কাজ করতে পারে (পারবে)। এটা আসলে একটা থিউরি, এটা ডেভেলপমেন্টের কাজ চলছে।
Self Awareness: এটাও আসলে থিউরি। এখানে কম্পিউটারের নিজস্ব চিন্তাভাবনা থাকবে, থাকবে নিজের অনুভুতি, শেখার ক্ষমতা, এমনকি কোন কাজে নেতৃত্ব দেয়ার ক্ষমতাও থাকতে পারে।
এগুলো ছিলো AI এর কিছু প্রকারভেদ। এর থেকে বেশি কিছু জানতে হলে গুগল করে দেখতে পারো। আমরা আর আপাতত AI এর থিউরি নিয়ে আর মাথা খাটাবো না, কারণ AI এর প্রথম স্টেপ মেশিনকে শেখানো, অর্থাৎ Machine Learning. আমরা পরবর্তিতে এই Machine Learning নিয়ে আলোচনা করবো।